দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, দিবা গত রাতে সাত ভ্রমণ
পাগলা মাইক্রোতে করে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার ছুটি।
দে-ছুট। ছুটছে মন, দেহ শুধু গাড়ীর আসনে হেলান। রাত
প্রায় বারটা। আড়াইহাজারের বাসিন্দা এন্টিক শাহনূর
ভাইয়ের খেজুর গাছের বাগানে হানা। তাই রাত দুপুরেও
মডেল পাড়া সোসাইটির ভিটা গ্রামটিতে ছিল
অন্যরকম ভাব। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ বলে কথা,ভাবতো অন্যরকম
থাকতেই হবে। গাছের তলায় গস্নাস নিয়ে সবাই প্রস্তুত।
ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে টর্চের আলোতে গাছি চানু
মিয়া রস নামালো। নামাতে যতটুকুন দেরী কিন্তু
গ্রোগ্রাসে সাবাড় করতে খুব একটা সময় লাগেনি ।
সুস্বাদু রস পানে সবাই ফুর্তীতে মশগুল।
উদর পুর্তি করতে করতে রাত বেড়েই চলছে। অথচ পানাহারে লিপ্তদের নেই
কোন তাড়া। আর তাড়াহুরাই বা থাকে কি করে। অনেক
অনেক খেজুর গাছের ভিড়ে আমরা। তাও আবার মাথার উপর
ঝুলে খেজুর রসের জার। ও হ্যাঁ বলে রাখি,শহনূর ভাই নিপা
ভাইরাস হতে রস যথা সম্ভব নিরাপদ ও ঝুকি মুক্ত রাখার জন্য
মাটির হাড়ির বদলে রস আহোরনের জন্য বিশেষ এক পদ্ধতিতে প্লাসিটেক জার ঝুলিয়েছেন। ইচ্ছেমত
খেজুররস পান শেষে শুরু হল বারবিকিউ। তারপর লেটকা
খিচুড়ী। শেষ রাতে ভরপুর খাওয়াদাওয়া।
ভোরের আলো ফুটতেই এক অন্যরকম স্নিগ্ধ সকাল। শিশীর ভেজা
ঘাসপাতা,কুয়াশার চাদরে মোড়ানো গ্রাম। কোলাহল
ঢাকার পাশেই নয়নাভিরাম সব নৈসর্গিক দৃশ্য। মনের
মাঝে সব ভালোলাগার সুখস্মৃতি নিয়েই ফিরতি পথ ধরি।
গাড়ী ষ্ট্রাট, কুয়াশা ভেদ করে গাড়ি চলে কচ্ছপ গতিতে।
চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর নিষ্ফল চেষ্টা। যান্ত্রিক ঢাকা
শহরের পথে চলতে চলতে আরো কত কি দেখা হয়।
ভ্রমণ তথ্যঃ-সময় নিয়ে গেলে ক্যাম্পিং,বারবিকিউ,সরিষা
ক্ষেত,আড়াই হাজারের তাঁত শীল্প ও মেঘনা নদীতে নৌ-ভ্রমণ
প্যাকেজের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যটনবান্ধব তরুনরা ব্যবস্থা
করে দিবে। বিউটিফুল আড়াইহাজার ফেসবুক
গ্রুপটিতে সার্চ দিলে আরো অনেক ভ্রমণ তথ্য জানা
যাবে।
ছবিঃ- শাহনূর
আর্টিকেলটি নিয়ে আলোচনা